আজকের আর্টিকেলে আমরা কোষ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

কোষ কাকে বলে?
কোষ কাকে বলে- কোষ হলো জীবের সবচেয়ে ছোট গঠনগত এবং কার্যকরী একক। এটি জীবনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। সব জীবিত প্রানীর দেহ কোষ দিয়ে তৈরি, এবং প্রতিটি কোষ তার নিজস্ব কাজ সম্পাদন করে, যেমন খাদ্য গ্রহণ, শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য নির্গমন, এবং পুনরুৎপাদন।
কোষের পরিচিতি
কোষ হলো জীবের গঠনগত, কার্যকরী এবং জীবনধারণের মূল একক। এটি জীবন্ত প্রাণীর সবচেয়ে ছোট এবং মৌলিক অংশ, যা একা একাই বেঁচে থাকতে ও কার্যক্রম চালাতে সক্ষম। প্রাণিজগতের সমস্ত জীব কোষ দিয়ে তৈরি, এবং প্রতিটি কোষে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সব কার্যকলাপ ঘটে।
কোষের পরিচিতির ইতিহাস
কোষের পরিচিতির ইতিহাস অনেক পুরানো এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৭শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো কোষের ধারণা সম্পর্কে অবগত হন। নিচে কোষের পরিচিতি ও এর ইতিহাসের প্রধান ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. কোষ আবিষ্কার (1665)
- ★ ১৬৬৫ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক (Robert Hooke) প্রথম কোষ আবিষ্কার করেন। তিনি কর্ক (cork) নামক গাছের টিস্যু মাইক্রোস্কোপের নিচে পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ বা ঘরের মতো গঠন দেখতে পান। তিনি এই কক্ষগুলোকে “কোষ” (cell) নামে অভিহিত করেন, যা লাতিন শব্দ “cellula” থেকে এসেছে, যার অর্থ “ছোট ঘর”।
- ★ হুক আসলে মৃত কোষের দেওয়াল দেখেছিলেন, যা উদ্ভিদের কোষের বাইরের স্তর হিসেবে থাকে। তবে সেই সময়ে জীবন্ত কোষের অভ্যন্তরের জটিলতা সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।
২. অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক (1674)
- ★ ডাচ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক (Antonie van Leeuwenhoek) ১৬৭৪ সালে নিজ হাতে তৈরি উন্নত মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে প্রথম জীবন্ত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি ব্যাকটেরিয়া, প্রটোজোয়া, এবং অন্যান্য এককোষী জীব সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন।
- ★ তিনি মানবকোষসহ বিভিন্ন ধরণের কোষের গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন, যা কোষবিদ্যার (cytology) বিকাশে সহায়ক হয়।
৩. কোষ তত্ত্বের বিকাশ (1838-1839)
- ম্যাথিয়াস শ্লেইডেন (Matthias Schleiden) এবং থিওডর শোয়ান (Theodor Schwann) ১৮৩৮ এবং ১৮৩৯ সালে পৃথক গবেষণার মাধ্যমে কোষ তত্ত্ব (Cell Theory) প্রস্তাব করেন।
- শ্লেইডেন উদ্ভিদ কোষ নিয়ে গবেষণা করেন এবং শোয়ান প্রাণী কোষ নিয়ে। তাদের সমন্বিত গবেষণায় তারা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে সকল জীব কোষ দ্বারা গঠিত, এবং কোষই জীবনের মৌলিক একক।
- কোষ তত্ত্বের মূল ধারণাগুলো:
- ★ সকল জীব কোষ দ্বারা গঠিত।
- ★ কোষ জীবের গঠন ও কাজের মৌলিক একক।
- ★ নতুন কোষ পুরাতন কোষের বিভাজনের মাধ্যমে তৈরি হয়।
৪. রুডলফ ভার্শো (1855)
- জার্মান বিজ্ঞানী রুডলফ ভার্শো (Rudolf Virchow) ১৮৫৫ সালে তার বিখ্যাত উক্তি দেন “Omnis cellula e cellula”, যার অর্থ “প্রতিটি কোষ অন্য কোষ থেকে উদ্ভূত”। এই ধারণা কোষ তত্ত্বকে আরও শক্তিশালী করে এবং কোষের বিভাজন ও পুনরুৎপাদন সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়।
৫. আধুনিক কোষ তত্ত্ব
- আধুনিক গবেষণায় কোষের আরো জটিলতা ও কার্যক্রম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জিত হয়েছে। আজকের বিজ্ঞানীরা কোষের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঙ্গাণু, যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া, রাইবোজোম, নিউক্লিয়াস ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। কোষের ডিএনএ ও জেনেটিক উপাদান সম্পর্কে গবেষণা জীববিদ্যা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
আরও পড়ুন: রসায়ন কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
কোষ তও্ব কি
কোষ তত্ত্ব (Cell Theory) হলো জীববিদ্যার একটি মৌলিক তত্ত্ব যা কোষের গঠন, কার্যাবলী, এবং জীবনের মৌলিক একক হিসেবে এর গুরুত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে। এই তত্ত্বটি জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি প্রদান করেছে। কোষ তত্ত্বের প্রধান উপাদানগুলো নিম্নরূপ:
কোষ তত্ত্বের মূল তিনটি ধারণা:
- সকল জীব কোষ দ্বারা গঠিত:
- এই ধারণা অনুসারে, সমস্ত জীবিত প্রাণী, উদ্ভিদ, এবং মাইক্রোওর্গানিজম কোষ দ্বারা গঠিত। অর্থাৎ, জীবনের মৌলিক গঠনগত একক হলো কোষ। উদাহরণস্বরূপ, একটি গাছের পাতা, একটি মানুষের ত্বক, বা একটি ব্যাকটেরিয়া, সমস্তই কোষ দ্বারা গঠিত।
- কোষ জীবনের মৌলিক একক:
- কোষ জীবনযাপনের মৌলিক একক হিসেবে কাজ করে। কোষের অভ্যন্তরে সমস্ত প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী প্রক্রিয়া ঘটে, যেমন শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য নিষ্কাশন, এবং পুনরুৎপাদন। কোষ ছাড়া কোনো জীবিত প্রানীর অস্তিত্ব সম্ভব নয়।
- নতুন কোষ পুরাতন কোষের বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়:
- কোষ তত্ত্বের এই ধারণা অনুসারে, নতুন কোষ গঠিত হয় পুরাতন কোষের বিভাজনের মাধ্যমে। কোষ বিভাজন হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি কোষ দুইটি নতুন কোষে বিভক্ত হয়। এই প্রক্রিয়া কোষের পুনরুৎপাদন এবং বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার অংশ।
কোষের প্রকারভেদ:
- প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic Cells):
- এদের কোনো নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে না।
- ডিএনএ কোষের সাইটোপ্লাজমে ভাসমান অবস্থায় থাকে।
- উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, আর্কিয়া।
- ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic Cells):
- এদের নির্দিষ্ট নিউক্লিয়াস থাকে, যেখানে ডিএনএ ধারণ করা হয়।
- সাইটোপ্লাজমে বিভিন্ন অঙ্গাণু থাকে।
- উদাহরণ: উদ্ভিদ, প্রাণী, ছত্রাক, প্রোটিস্টা।
- নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিওিতে কোষ দুই প্রকার
- ১. আদি কোষ
- ২. প্রকৃত কোষ
- ★ আদি কোষ (Primitive Cell) বা আদিকেন্দ্রিক কোষ (Prokaryotic Cell) হলো এমন ধরনের কোষ যেগুলি পরমাণু নিউক্লিয়াসের অভাব থাকে এবং সাধারাণত এককোষী জীবের অংশ হিসেবে দেখা যায়। এই কোষগুলির মধ্যে জটিল অঙ্গাণু (organelles) সাধারণত অনুপস্থিত থাকে।
- ★ আদিকেন্দ্রিক কোষের গুরুত্ব:
- জীববৈচিত্র্য: আদিকেন্দ্রিক কোষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশে বিস্তৃত এবং জীবন চক্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- জীববিজ্ঞান: আধুনিক কোষ জীববিজ্ঞানে আদিকেন্দ্রিক কোষের প্রভাব এবং তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার বিষয়।
প্রকৃত কোষ
প্রকৃত কোষ (Eukaryotic Cell) হলো একটি ধরনের কোষ যা একটি সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস এবং বিভিন্ন মেমব্রেন-বন্ধ অঙ্গাণু (organelles) দ্বারা গঠিত। এই কোষগুলির মধ্যে জীবনের আরও জটিল কার্যক্রম এবং গঠনগত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। প্রকৃত কোষ সব ধরনের বহুকোষী জীব এবং কিছু এককোষী জীবের মধ্যে বিদ্যমান।
প্রকৃত কোষের বৈশিষ্ট্য:
- নিউক্লিয়াস:
- প্রকৃত কোষের একটি সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে, যা কোষের কেন্দ্রে অবস্থিত এবং ডিএনএ ধারণ করে। এটি কোষের জেনেটিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেলুলার কার্যক্রমের নির্দেশনা প্রদান করে।
- মেমব্রেন-বন্ধ অঙ্গাণু:
- প্রকৃত কোষের বিভিন্ন মেমব্রেন-বন্ধ অঙ্গাণু থাকে, যেমন:
- মাইটোকন্ড্রিয়া: শক্তি উৎপাদনের জন্য (ATP সৃষ্টির স্থান)।
- রাইবোজোম: প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য।
- এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম: প্রোটিন ও লিপিড সংশ্লেষণ এবং পরিবহন।
- গলজির জটিল: প্রোটিন এবং লিপিড প্রক্রিয়াকরণ এবং প্যাকেজিং।
- লিসোসোম: কোষের বর্জ্য পদার্থ ভেঙে ফেলা।
- প্রকৃত কোষের বিভিন্ন মেমব্রেন-বন্ধ অঙ্গাণু থাকে, যেমন:
- কোষের প্রাচীর:
- উদ্ভিদ কোষে কোষের প্রাচীর থাকে যা সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। প্রাণী কোষে সাধারণত কোষের প্রাচীর থাকে না।
- সাইটোপ্লাজম:
- প্রকৃত কোষের সাইটোপ্লাজম হল একটি জেলির মতো তরল, যা কোষের সমস্ত অঙ্গাণুকে ধারণ করে এবং বিভিন্ন সেলুলার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- কোষ বিভাজন:
- প্রকৃত কোষ মিটোসিস (মিটোটিক বিভাজন) এবং মেইওসিস (প্রজনন কোষ বিভাজন) প্রক্রিয়া দ্বারা বিভাজিত হয়।
সাধারণত কোষের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ★ ছোট আকার: কোষগুলি খুব ছোট এবং সাধারণত মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায়।
- ★ কোষ ঝিল্লি (Cell Membrane): কোষের চারপাশে থাকা একটি পাতলা স্তর, যা কোষের অভ্যন্তর ও বাহ্যর পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে। এটি কোষের ভেতরের সামগ্রীকে রক্ষা করে এবং কিছু পদার্থকে প্রবেশ করতে বা বাইরে যেতে দেয়।
- ★সাইটোপ্লাজম: কোষের অভ্যন্তরে থাকা একটি জেলির মতো তরল, যেখানে কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘটে।
- ★নিউক্লিয়াস (Nucleus): অধিকাংশ কোষের কেন্দ্রে থাকে একটি নিউক্লিয়াস, যা ডিএনএ ধারণ করে এবং কোষের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- ★ অঙ্গাণু (Organelles): কোষের ভেতরে বিভিন্ন অঙ্গ থাকে, যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া (শক্তি উৎপাদনকারী), রাইবোজোম (প্রোটিন তৈরিকারক), লিসোসোম ইত্যাদি, যেগুলো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে।
মানবদেহের স্নায়ুর কাজ পরিচালনায় বিভিন্ন প্রকার কোষের ভূমিকা
মানবদেহের স্নায়ু সিস্টেমের কার্যকারিতা বিভিন্ন প্রকার কোষের সম্মিলিত ভূমিকার উপর নির্ভর করে। এখানে সংক্ষেপে ভূমিকা তুলে ধরা হলো:
- নিউরন (Neuron):
- সেন্সরি নিউরন: বাহ্যিক ইন্দ্রিয়ের তথ্য সংগ্রহ করে স্নায়ু সিস্টেমে প্রেরণ করে।
- মোটর নিউরন: স্নায়ু সিস্টেম থেকে মাংসপেশী এবং গ্রন্থিগুলির সাথে যোগাযোগ করে, যা শরীরের প্রতিক্রিয়া ও আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করে।
- ইন্টারনিউরন: নিউরনগুলির মধ্যে তথ্য প্রক্রিয়া ও সংযোগ স্থাপন করে।
- গ্লিয়াল কোষ (Glial Cells):
- অস্ট্রোসাইট: নিউরনের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং রক্ত-মস্তিষ্ক বাধার রক্ষণাবেক্ষণ করে।
- অলিগোডেনড্রোসাইট: সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে এক্সনের মাইলাইন শীট তৈরি করে, যা স্নায়বিক সিগন্যালের গতিবেগ বৃদ্ধি করে।
- শওয়ান সেলস: পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেমে এক্সনের মাইলাইন শীট তৈরি করে।
- মাইক্রোগ্লিয়া: স্নায়ু সিস্টেমে প্রতিরক্ষা ও মেরামত কাজ করে।
সারাংশে, নিউরন তথ্য প্রেরণ ও প্রক্রিয়া করে, আর গ্লিয়াল কোষ নিউরনের সমর্থন এবং স্নায়ু সিস্টেমের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।
মানব দেহের পেশির কাজ পরিচালনায় বিভিন্ন প্রকার কোষের ভূমিকা
- পেশির কোষ (Muscle Cells):
- স্কেলেটাল পেশির কোষ: দেহের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তারা নিউরোনের মাধ্যমে সংকেত গ্রহণ করে এবং সংকুচিত হয়।
- কার্ডিয়াক পেশির কোষ: হৃদয়ের সঙ্কোচন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করে।
- স্মুথ পেশির কোষ: অভ্যন্তরীণ অঙ্গের পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে (যেমন অন্ত্র, রক্তনালী)।
- নিউরোনাল কোষ (Neuronal Cells):
- মোটর নিউরন: পেশির কোষে সংকেত প্রেরণ করে যা পেশি সংকোচন এবং শারীরিক কার্যক্রম সৃষ্টি করে।
- সেন্সরি নিউরন: পেশির অবস্থান এবং সংকেত সম্পর্কে মস্তিষ্ককে তথ্য প্রদান করে।
পেশির কোষ সংকোচন এবং শিথিলতার মাধ্যমে শরীরের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, এবং নিউরোনাল কোষ সঙ্কেত প্রেরণ ও প্রক্রিয়া করে।
উপসংহার:
মানব দেহের পেশির কার্যক্রম নির্ভরশীল বিভিন্ন প্রকার কোষের সমন্বিত কাজের উপর। পেশির কোষ (স্কেলেটাল, কার্ডিয়াক, স্মুথ) সরাসরি পেশির সংকোচন ও শিথিলতার মাধ্যমে শারীরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে, যা দেহের চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, নিউরোনাল কোষ (মোটর নিউরন ও সেন্সরি নিউরন) স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে পেশিতে সংকেত প্রেরণ ও প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়া করে, যা সঠিক এবং কার্যকর পেশি সংকোচন নিশ্চিত করে। এই কোষগুলির সম্মিলিত কাজ দেহের কার্যক্রম এবং সঠিক শারীরিক চলাচলের ভিত্তি ইত্যাদির মাধ্যমে কোষ কাকে বলে তা বুঝা যায়।