বেশি বেশি আয় করা যায় এমন সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ

অনলাইনের মাধ্যমে কোনো কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। যে ব্যক্তি কাজটি করে দিচ্ছে তাকে বলা হয় Freelancer, অর্থাৎ সে Freelancing করছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা বেশি বেশি আয় করা যায় এমন সেরা ৫ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ফ্রিল্যান্সিং

মুক্তপেশা বা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে সবচেয়ে বেশি আয় করার জন্য আপনাকে প্রথমে সঠিক কাজটি সিলেক্ট করে নিতে হবে।

বর্তমান যুগে ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেশ প্রতিযোগিতামূলক জায়গা। প্রায় সব ধরণের মার্কেট-প্লেসে ফ্রিল্যান্সারের আধিক্য রয়েছে।

তাই,যেমন প্রতিযোগীতা রয়েছে, তেমনি রয়েছে অনেক বেশি আয়ের মাধ্যম।

অনেক সময় দেখা যায়, একটি জব পোস্টে শতাধিক বিড পড়ে। এখানে আয় তো দূরের কথা, কাজ পাওয়াটাই ঝামেলা হয়ে যায়। কিন্তু, আপনি যদি সঠিক কাজটি সিলেক্ট করতে পারেন, তাহলে এরকম মুশকিলে পড়তে হবে না।

ইতোমধ্যে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি? ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়ে আয় করুন এ আর্টিকেল উল্লেখ করেছি। আজকে ফ্রিল্যান্সিং জগতের যে ৫ টি কাজ নিয়ে আলোচনা করব যা থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন।

বেশি আয়ের ফ্রিল্যান্সিং কাজ

যে ৭ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে আপনি সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন তা হলঃ

  1. Software Development
  2. Web Design And Development
  3. Writing
  4. Graphic designer
  5. Programmer

1. Software Development

প্রোগ্রামিং কাজগুলি, বিশেষত সফ্টওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সর্বাধিক অর্থ প্রদান করে।

এটি এমন দক্ষতা সম্পূর্ণ কাজ যা সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করা বেশ কঠিন এবং সেখানে খুব ভাল কোডার নেই। সুতরাং, ভাল কোডারের চাহিদা অনেক বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৭০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়!

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে ইনকাম বেশি এটি সবাই জানে। বর্তমানে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বেড়েই চলছে। সাধারণত কম্পিউটার,গেইম ডেভেলপমেন্ট এবং মোবাইলের অ্যাপস তৈরির চাহিদা বেশি। বর্তমানে ৫টি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বেশি জনপ্রিয় যথা –

  • জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript)
  • পাইথন (Python)
  • জাভা (Java)
  • সি (C)
  • সি প্লাস প্লাস (C++)

সর্বাধিক বেতনযুক্ত ফ্রিল্যান্স কাজগুলির মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি, এই ভূমিকাটিতে কোডিং, ডিবাগিং, পরীক্ষা ও সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামগুলি ডিজাইন করা এবং ডেভলপিং করা হয়।

আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট থেকে আয় করতে চান তবে আপনি এখানকার যে কোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে নিতে পারেন।

চাইলে আরও বেশি ল্যাংগুয়েজও শিখতে পারেন। তবে,আগে একটাতে এক্সপার্ট হয়ে তারপর অন্যগুলো শিখবেন নাহলে অন্যগুলো শিখতে যাওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই হবে না। আপনি যদি ভালো করে যে কোন একটা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে এক্সপার্ট হতে পারেন, তবে আউটসোর্সিং করার ওয়েবসাইট গুলোতে সফটওয়্যার কিংবা গেইম কিংবা কম্পিউটার ডেভেলপমেন্টের কাজ করে অনেক আয় করতে পারেন।

2. Web Design And Development

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের পরেই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কথা আসে। একটি আপওয়ার্কের পরিসংখ্যান প্রতিবেদন অনুসারে, পিএইচপি(PHP) ডেভলপমেন্ট হ’ল 2015-এর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা-দক্ষতা সম্পূর্ণ কাজ। ওয়েব ডিজাইনটি 7 তম স্থানে রয়েছে।ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য দুর্দান্ত চাহিদা রয়েছে , এটি লক্ষণীয় যে ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডিজাইন শিল্পটি এখনই বেশ ভিড় করেছে কারণ ওয়েব ডিজাইন শেখা এবং ওয়েবসাইট কোডিং শুরু করা সহজ। এখানে কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় ৬০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়!

ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ভিতর ২টি ধাপ রয়েছে। তাছাড়া, ২টি ধাপের জন্য আবার আলাদা আলাদা ল্যাঙ্গুয়েেও জানা লাগে। যেমন –

  1. ফ্রন্ট এড।
  2. ব্যাক এড।

ফ্রেন্ট এডের যেসব ল্যাঙ্গুয়েজ জানা লাগবে তা হল –

  • HTML
  • CSS
  • JavaScript ইত্যাদি।

ব্যাক এন্ডের জন্য –

  • PHP
  • JavaScript
  • Node.js
  • MySQL ইত্যাদি।

এ-সব ল্যাঙ্গুয়েজের সাথে সাথে ফ্রেমওয়ার্কও জানা থাকা লাগবে। আপনি যত বেশি জানবেন অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, মার্কেট-প্লেসে আপনার চাহিদা এবং আয় তত বেশি থাকবে।

বর্তমানে প্রতিটি কোম্পানিরই নিজস্ব ওয়েবসাইট আছে, এসব রক্ষণাবেক্ষণ এবং আপগ্রেডের জন্য ওয়েব ডেভেলপার ভাড়া করা হয়ে থাকে। মার্কেট-প্লেসে এই ধরণের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জবে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি।

ওয়েব ডেভলপাররা কোনও সাইটের চেহারা এবং এর কার্যকারিতার জন্য দায়বদ্ধ হয়ে ওয়েবসাইটগুলি ডিজাইন করে এবং তৈরি করে।

ওয়েব ডেভলপাররা কোড লিখবেন, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করবেন, গ্রাফিক্স এবং অডিও একীভূত করবেন এবং ক্লায়েন্টদের সাথে প্রয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করবেন।

3. Writing

রাইটারদের চাহিদা সেই অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে। অনলাইন মার্কেটিংয়ের প্রবণতা এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিংয়ের মতো নতুন পদ্ধতিগুলির ডেভলপমেন্টের জন্য কৃত্রিম লেখার জন্য রাইটিংকে এখন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আর্টিকেল লিখে মাসে কম পক্ষে ৫০ হাজার থেকে ১ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। রাইটিং বিভিন্ন বিভাগের হতে পারে। যেমন –

  • কপিরাইটার (Copywriter)
  • আর্টিকেল রাইটার (Article Writer)
  • টেকনিক্যাল রাইটার (Technical Writer)
  • কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) ইত্যাদি ।

প্রতি বিভাগ ভেদে আয়ের পরিমাণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সব বিভাগেই কাজের চাহিদা রয়েছে। আপনি যে বিভাগে কাজ করতে চান, আপনাকে সে বিভাগে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।

কারণ সবাই দক্ষ লেখক হতে পারে না। দক্ষ না হলে বেশি আয় করতে পারবেন না ।এজন্য আপনাকে প্রচুর লিখতে হবে, প্রচুর পরিমাণে পড়তে হবে।

এছাড়া আশ্চর্যজনক আর্টিকেলগুলো লিখতে আপনার সৃজনশীল মন প্রয়োজন। এখানে কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় ৪১ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়!

4. Graphic Designer

গ্রাফিক ডিজাইনটি আপওয়ার্কের সর্বাধিক ডিমান্ড অনুযায়ী দক্ষতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

যদি আপনি গ্রাফিক ডিজাইনের বিভাগের অধীনে শীর্ষস্থানীয় ফ্রিল্যান্সারদের দিকে নজর দেন তবে আপনি কিছু ফ্রিল্যান্সারকে দেখতে পাবেন যারা ডিজাইনের কাজকর্মের জন্য প্রতি ঘণ্টায় 85 ডলার করে আয় করে।

কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের নির্দিষ্ট কিছু সেকশন আছে যেখানে আয়ের পরিমাণ বেশি। এর মধ্যে ইউআই(UI) সেকশন উল্লেখযোগ্য।

অন্যান্য সেকশনে এখন ফ্রিল্যান্সারের পরিমাণ অনেক বেশি তাই আয়ের পরিমাণ কম। তবে, অন্যান্য অনেক কাজ থেকে এই কাজে আয় কিছুটা বেশি। এখানে কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় ৩৬ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়!

5. Programmer

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন ফ্রীলান্সিং জব হচ্ছে প্রোগ্রামিং। এখন, প্রতিটি ব্যবসায়, সংস্থা এবং সৃজনশীল প্রকল্পের একটি শক্তিশালী অনলাইন পদচিহ্নের প্রয়োজন।

তাই এটি তৈরি করার জন্য দক্ষ পেশাদারদের প্রয়োজন রয়েছে। প্রোগ্রামাররা এসব করে থাকে। প্রোগ্রামাররা অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কোড এবং সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। প্রোগ্রামার কোডগুলি কম্পিউটারকে অনুসরণ করার জন্য নির্দেশগুলিতে রূপান্তর করে। বিভিন্ন কম্পিউটার ভাষায় প্রোগ্রাম লিখার জন্য যেমন- সি ++, জাভা, এইচটিএমএল,সি ইত্যাদি ভাষায় দক্ষতা প্রয়োজন। এখানে কাজ করলে প্রতি ঘন্টায় ৩৮ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যায়!

বেশি আয়ের ফ্রিল্যান্সিং ১০ টি ওয়েবসাইট

ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ১০টি জনপ্রিয় এবং বেশি আয়ের ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটের তালিকা দেওয়া হলো:

১. Upwork

  • বৈশিষ্ট্য:
    বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
    কাজের ধরণ: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজাইন, রাইটিং, মার্কেটিং ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: প্রকল্পভিত্তিক চুক্তি বা ঘণ্টাপ্রতি আয়ের সুযোগ।

২. Fiverr

  • বৈশিষ্ট্য:
    ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা অনুযায়ী পরিষেবা (Gig) বিক্রি করতে পারে।
    কাজের ধরণ: গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: প্রতি অর্ডারে নির্ধারিত অর্থ।

৩. Toptal

  • বৈশিষ্ট্য:
    শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। ক্লায়েন্টরা উচ্চমানের কাজের নিশ্চয়তা পান।
    কাজের ধরণ: সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফিন্যান্স, ডিজাইন ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: উচ্চ-মানের ক্লায়েন্ট, তাই বেশি আয়ের সুযোগ।

৪. Freelancer.com

  • বৈশিষ্ট্য:
    বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বিড করার সুযোগ।
    কাজের ধরণ: আইটি, ডিজাইন, মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে চুক্তি।

৫. PeoplePerHour

  • বৈশিষ্ট্য:
    ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের জন্য নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।
    কাজের ধরণ: গ্রাফিক ডিজাইন, মার্কেটিং, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: প্রজেক্টের ভিত্তিতে।

৬. Guru

  • বৈশিষ্ট্য:
    ফ্রিল্যান্সার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে সহজ যোগাযোগ।
    কাজের ধরণ: প্রোগ্রামিং, রাইটিং, অ্যাডমিন সাপোর্ট ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: চুক্তি বা ঘণ্টাভিত্তিক কাজ।

৭. 99designs

  • বৈশিষ্ট্য:
    শুধুমাত্র ডিজাইনারদের জন্য বিশেষায়িত।
    কাজের ধরণ: লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: উচ্চমানের ক্লায়েন্ট থেকে বেশি আয়ের সুযোগ।

৮. SimplyHired

  • বৈশিষ্ট্য:
    বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজের বিজ্ঞপ্তি।
    কাজের ধরণ: ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে উচ্চমানের প্রজেক্ট।
    আয়ের সম্ভাবনা: কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী।

৯. Dribbble

  • বৈশিষ্ট্য:
    ক্রিয়েটিভ ডিজাইনারদের জন্য আদর্শ।
    কাজের ধরণ: ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন, মোশন গ্রাফিক্স ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: ক্লায়েন্টদের জন্য প্রিমিয়াম ডিজাইন প্রজেক্ট।

১০. LinkedIn ProFinder

  • বৈশিষ্ট্য:
    পেশাদার নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খোঁজা যায়।
    কাজের ধরণ: কনসালটিং, লেখালেখি, মার্কেটিং ইত্যাদি।
    আয়ের সম্ভাবনা: অভিজ্ঞতা অনুযায়ী।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে হলে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সঠিক প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া জরুরি। এছাড়া পোর্টফোলিও উন্নত করে ক্লায়েন্টদের বিশ্বাস অর্জন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার কোনো নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম নিয়ে জানতে হলে জানাতে পারেন।


ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করা প্রচুর পার্থক্য নিয়ে আসে। আপনার নিজের সময় নির্ধারণের পাশাপাশি আপনার দক্ষতার সাথে জীবনধারণ করার সুযোগ রয়েছে।

আপনি যদি সঠিক কাজটি খুঁজে পান তবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করে আপনি অবশ্যই প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।তবে ভাল আয় করতে হলে কাজে দক্ষ হওয়া আবশ্যক। মনে রাখবেন, অদক্ষ লোক কোনও কাজেই সাফল্য লাভ করতে পারে না।

আজ এ পর্যন্তই থাকলো। আশা করি , আর্টিকেলটি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top